সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন জলমহালের পানি শুকিয়ে ইজারাদাররা মাছ শিকার করছে। ইজারা এবং সাব ইজারাদাররা সেলু মেশিন দিয়ে বিলের তলা শুকিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইজারাদারগণ এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খোলতে চাইছে না। এভাবে মাছ ধরলে হাওর এলাকায় মাছের বংশবিস্তার কমে যাওয়ার আশংকা করছেন এলাকার মৎসজীবী ও কৃষক পরিবার। ইজারাদারগণ বলছেন, তারা পানি কমিয়ে মাছ ধরার জন্য বিল সেচ করা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন জমিতে পানি দেওয়ার জন্য মেশিন লাগানো হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দাবি, কোথাও এ ধরনের কাজ হলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সরকারি নীতি না মানলে আমরা ইজারা বাতিলের ব্যবস্থা করব।
জানা যায়, ভীমখালী ইউনিয়নের লম্বা বিল, গুল বিল এবং একই ইউনিয়নের কান্দাগাঁও গ্রামের পাশের মরা নদীতে সেলু মেশিন লাগিয়ে বিলের তলা শুকিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরাবরে দুইটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।অভিযোগে জানা যায়, ভীমখালী ইউনিয়নের লম্বা বিল শুকিয়ে মাছ আহরণ করার জন্য তিনটি সেলু মেশিন পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। জলমহালটি দক্ষিণ দৌলতপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ইজারা পেয়েছে বলে অভিযোগে জানা যায়।অপরদিকে, কান্দাগাঁও মরা নদীতে ছেলাইয়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে মো. সোনা মিয়া নদীটি সাবলিজ নিয়ে সেলু মেশিন পানি নিষ্কাশন করছে। এ ব্যাপারে এলাকার কৃষকগণের পক্ষে মো. ফরিদ মিয়া এবং কান্দাগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে ফয়জুন্নুর স্বাক্ষরিত দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
দক্ষিণ দৌলতপুর মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কংকন তালুকদার জানান, আমরা সরকারি নিয়ম মেনে এবং কৃষকের জমিতে পানি দেওয়ার স্বার্থে বিলের পানি সেচ করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনন্দা মোদক জানান, অভিযোগ পেয়েছি, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।
কমেন্ট করুন